Monon (মনন)



মননের পটভূমি:


কোনো এক মরুভূমিতে,খোলা আকাশের নিচে বসবাসকারী মানুষের জন্য আরাধ্য বস্তু হয়ে দাঁড়ায় একটি ঘর;ফলে মহোৎসবের মধ্য দিয়ে তারা সেটি তৈরিও করে ফেলে। কিন্তু সেটি বেশিদিন মানুষের অসীম প্রত্যাশা পূরণে হিমশিম খেতে থাকে।ফলে তারা নতুন করে, ঘরের বেড়ার বিভিন্ন অংশে বারান্দা তৈরি করতে শুরু করে। কিন্তু তাতেও তাদের তৃপ্তি মেটেনা।তারা আবার ভাবতে শুরু করল, ঘরটিকে কীভাবে আরও সুন্দর ও মানসিক প্রশান্তির আশ্রয়স্থল হিসেবে গড়ে তোলা যায়। অবশেষে তারা তাতে অবাধ আলো বাতাস চলাচলের জন্য চমৎকার করে জানালা বানাল।ফলে এটি সত্যিই শান্তির নীড় হিসেবে মাথা উঁচু করে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে গেল। তেমনিভাবে ' মনন ' প্রতিষ্ঠার ইতিহাস একই সুতোয় গাঁথা।সেই ষাটের দশকের (১৯৬৪) কথা, তখন শুধু গাইবান্ধা কেন? সমগ্র উত্তরবঙ্গ ছিল শিক্ষা-সমাজ, অর্থ ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে অনেক পিছিয়ে। সেখানে পলাশবাড়ী (সরকারি) কলেজ প্রতিষ্ঠা শিক্ষাক্ষেত্রে মরূদ্যান হিসেবে ভূমিকা রাখল। কিন্তু অল্পবিস্তর পাঠ্যক্রম বা বিষয়ের জ্ঞান তাদের মন:পূত হলোনা।ফলে তারা নতুন নতুন বিভাগ চালু করল, কিছু সময়ের ব্যবধানে কয়েকটি বিভাগে অনার্স কোর্স চালু করল। কিন্তু তাতেও তৃষ্ণা অপূরণীয়-ই থেকে গেল।তাই তারা পাঠ্যপুস্তকের গৎবাঁধা কালো অক্ষরের বাইরে, চিত্তবিনোদনের এক প্রবল আকর্ষণ অনুভব করল। যেখানে দমবন্ধ করা পরীক্ষা নির্ভর পড়ার ফাঁকে ফাঁকে, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মুক্ত নিঃশ্বাস ছাড়া যায়। অবশেষে বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে, অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ শওকত আলম মীর স্যারের হাত ধরে ০৮ ডিসেম্বর,২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে; কলেজের '১১১' নম্বর কক্ষের নাম পাল্টে দিয়ে ' মনন ' নামে আত্মপ্রকাশ করল।যা কিনা ঐ দিন থেকে, সুস্থ সংস্কৃতিপ্রেমীদের মনোজগতে; ভেন্টিলেটরের নির্মল অক্সিজেনের মতো চিরবহমান। কবির কণ্ঠে বলা যায়-
                            " সবার কণ্ঠে আজ- দীপ্ত স্বনন
                             অসুস্থ শিক্ষা- সংস্কৃতির কানন
                            দুমড়ে মুচড়ে ভেঙে দেবে 'মনন' "।

“মনন” কর্তৃক আয়োজিত কর্মসূচিসমূহ


বহুদিন ধরে বিরাজমান শিক্ষাব্যবস্থায় এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপের নাম “মনন”। একঘেমিপূর্ণ সনদমুখী শিক্ষাব্যবস্থার অবসাদ দুরীকরণে এটি নতুন সংযোজন। যেখানে পাঠ্যপুস্তকভিত্তিক পড়াশুনার সাথে সাথে, শিক্ষার্থীবৃন্দ এক সৃজনশীল নতুন জীবনের সন্ধান পায়। যেখানে নিজেদের দ্বিধা-সংশয় , শঙ্কা-ভয়, জড়তা ও পিছুটান ঝেড়ে ফেলে উদীয়মান লাল-সূর্যের কান্ডারি হয়। যেখানে তারা খুঁজে পায় সুস্থ-সুন্দর ও উন্নত জীবন গঠনের কারিগর, পিতৃ-মাতৃতুল্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ (বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার) শিক্ষকমন্ডলীর সহবস্থান। যা তাদেরকে ভুলিয়ে দেয়, বাড়িতে রেখে আসা মা-বাবা, ভাই-বোন, পরিবার-পরিজনের শূন্যতাকে। যেখানে কলেজের প্রাণ সকল শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও শিক্ষকমণ্ডলীগণ এক মিলন মেলায় উজ্জীবিত হন। নানা কর্মসূচিতে চিন্তন-মননে হয়ে ওঠেন একাকার। উল্লেখ্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত বিভিন্ন কর্মসূচি এবং সরকারের সাথে অঙ্গীভূত লিয়াজো অফিস কর্তৃক আয়োজিত সমাজ ও শিক্ষা উন্নয়নমূলক সৃজনশীল কর্মকান্ডে সহযোগীর ভূমিকা পালন করে থাকে।


আয়োজিত কর্মসূচিসমূহঃ



১) পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত
২) পবিত্র গীতা পাঠ
৩) উপস্থিত বক্তব্য
৪) ভাষা ও সাহিত্য চর্চা
৫) সৃজনশীল মেধা-অন্বেষণ প্রতিযোগিতা
৬) বিজয় ফুল তৈরি
৭) বিজ্ঞান মেলা
৮) বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড
৯) ব্যবসায় পরিকল্পনা প্রতিযোগিতা
১০) বিতর্ক প্রতিযোগিতা
১১) চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
১২) গল্প রচনা
১৩) কাব্য রচনা
১৪) রচনা প্রতিযোগিতা
১৫) কবিতা আবৃত্তি
১৬) জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা
১৭) দেশাত্নবোধক সংগীত প্রতিযোগিতা
১৮) হামদ ও নাত প্রতিযোগিতা
১৯) আঞ্চলিক গান প্রতিযোগিতা
২০) আধুনিক গান প্রতিযোগিতা
২১) রবীন্দ্র সংগীত ও নজরুল গীতি প্রতিযোগিতা
২২) অভিনয় (একক)
২৩) নাটক মঞ্চায়ন
২৪) কুইজ প্রতিযোগিতা
২৫) সেমিনার আয়োজন



Photo Gallery